



প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আমরা ভাইরাল হতে দেখি। সারাদিনের বেশ খানিকটা সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে থাকি এই সমস্ত ভাইরাল ভিডিওগুলি দেখে। করোনা মহামারীর সময় যখন সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল সেই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার চাহিদা এবং গুরুত্ব দুটোই বেড়ে যায়।




গৃহবন্দী মানুষ তখন নিজেকে ব্যস্ত রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপ করে পোস্ট করতে শুরু করে। নিমেষের মধ্যে সেই সকল পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়ে বেশ কিছু ইনকাম শুরু হয়।বর্তমান এই যুগে সবার হাতেহাতে বিনোদন বলতে আমাদের মাথায় একটাই আধুনিক প্ল্যাটফর্মের কথা মনে পড়ে সেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া।




হ্যা এই সোশ্যাল মিডিয়াই এখন আমাদের বিনোদন খেলাধুলা, গানবাজনা, সিনেমা, খবরাখবর প্রভৃতি আরও অনেক কিছু উপভোগ করার বিপুল ব্যাবহৃত এবং সহজ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ছোটো থেকে বড়ো প্রায় সবার হাতেই এখন এই মাধ্যমটি পৌঁছে গেছে।আধুনিক সমাজের বহু তরুণতরুণীর বহু প্রতিভা,
খেলাধুলা এই মাধ্যমের মাধ্যমে সবার হাতেহাতে পৌঁছে গেছে এবং ফুটে উঠেছে। আধুনিক সমাজে প্রায় সবাই বিভিন্ন তথ্য, জ্ঞান, শিক্ষা, প্রযুক্তি গ্রহণ করতে এই মাধ্যমের উপর বিপুল ভাবে সক্রিয় বলা যেতে পারে। বর্তমানে আধুনিকতার শিখরে এসে সব থেকে দ্রুত সাফল্য পাবার চাবিকাঠি হল এই সোশ্যাল মিডিয়া।




প্রায় অনেকেই নিজের প্রতি।ভা তুলে ধরে রাতারাতি এক সাফল্যের শিখরে পৌঁছে স্টার হয়েছেন, হয়েছেন বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা।সরস্বতী পুজো পরদিন বিসর্জন হয়েছে জীবন্ত সরস্বতী লতা মঙ্গেশকরের। সুরের দেবীর মৃত্যুশোক সামলাতে সামলাতেই মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সুরজগত হারিয়েছে আরও দুই নক্ষত্র সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ীকে।
সুরের জগতের এই তিন নক্ষত্র প্রয়ানে শোকে মর্মাহত গোটা দেশবাসী।কথায় বলে শিল্পীর পরিচয় শিল্পে।এবার এই প্রয়াত শিল্পীদের সম্মান জানাতে শিল্পকেই বেছে নিলেন এক ব্যক্তি। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে তুলির সাহায্য নিলেন শিল্পী মানিক দেবনাথ।
আঁকাতে বরাবর ভালোবাসেন তিনি বিভিন্ন ধরনের ক্যানভাসে ফুটে ওঠে তার ভাবনা। রঙ তুলির টানে জীবন্ত করে তোলেন ছবিগুলিকে। তবে এবার অতিক্ষুদ্র ছোলার ডালের ওপর তিন শিল্পীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।এত ক্ষুদ্র বস্তুর ওপর তিন শিল্পীর প্রতিকৃতি এঁকে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
তার এই কীর্তি ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে সর্বত্র। কিন্তু এই ভাবনার নৈপথ্যে কারণ কি সম্প্রতি শিল্পী নিজের মুখে জানালেন সেই কথা। জানালেন নিজের শিল্পকর্মের দ্বারাই শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর মনের ইচ্ছার কথা জানালেন।
মানিকবাবু জানিয়েছেন যদি শিল্পীদের পরিবারের কেউ এই ছবি নিতে চাই বা ছোলার ওপর তার এই শিল্পকর্মটি মিউজিয়ামের ঠাই পাই তাতে তিনি গর্বিত বোধ করবেন। প্রায় কুড়ি বছর ধরে এভাবেই তার প্রতিভা প্রকাশ করে চলেছেন মানিকবাবু। তার এই অসাধারন শিল্পকর্ম সঠিক মর্যাদা পাক এই কামনা করেছেন দর্শকরা।