



স্যোশাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়।তাতে তেমন হাসি মজার খোড়াক থাকে,তেমনই থাকে সুপ্ত প্রতিভার আত্মপ্রকাশও।




আবার কখোনো অবিশ্বাস্যকর ঘটনার বিবরণও থাকে। আবার এমন ভয়ানক সব ভিডিও দেখা যায় যা দেখে ঘুম উড়ে যায়। যেমন,




বিশালাকৃতি অজগরের সাপের সাথে খেলছে শিশু কিংবা গোয়ালঘরে গোরুর পায়ে জড়িয়ে রয়েছে বিষধর সাপ।
আবার মাটি খুঁড়তেই সাপের ডিম পাওয়ার খবর অথবা পোষা কুমিরের মুরগি মেরে ফেলার ঘটনা। এজাতীয় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর খবর পড়ে শিহরিত হলেও এসবেই বেশী ভিউজ আসে। এই খবরই দর্শক দেখতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি তেমনই একটি ভয়ানক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটা কমোডো ড্রাগন একটি ছাগলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, একটি জীবন্ত ছাগলের পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে সে নিজের ডেরায়। ছাগলটির পা কেটে গিয়েছে, মাংস খুবলে খসে পড়ছে, রক্ত ঝড়ছে। অমানুষিক চিৎকার করছে সে যন্ত্রণায়, ভয়ে। কিন্তু কমোডো ড্রাগন নির্বিকার। আরও বেশী পৈশাচিক আচরণ করছে ক্যামেরাম্যান। হ্যাঁ, গোটা ঘটনাটি সামনে থেকে ভিডিও করা হয়েছে,
কোনো ড্রোন ফুটেজ নয়। ক্যামেরাম্যা ঘুরে ফিরে ভিডিও করছে। কিন্তু ছাগলটির কষ্ট দেখে একবারও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। আর এরজন্যেই নেটিজেনরা যারপরনাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর উপর। কমোডো ড্রাগন ওয়াইন্ড ইনডোর নামক একটা ইউটিউব চ্যানেল থেকেই এই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসংখ্য মানুষ লাইক করেছেন। কমোডো ড্রাগন দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই ছিছিক্কার করছে, কেন ক্যামেরাম্যান সামনে থেকেও বেচারা ছাগলটিকে বাঁচালো না। প্রসঙ্গত, কমোডো ড্রাগন হলো বিশ্বের সবচেয়ের বড় গুইসাপ যা ইন্দোনেশিয়ার কোমোডো দ্বীপপুঞ্জে ও জাভা দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে পাওয়া যায়। এদের অন্য নাম ভারাণ। এই প্রাণী ইন্দোনেশিয়া জাতীয় প্রাণীদের অন্যতম। এর আকার ৩ মিটারের কাছাকাছি লম্বা হয়, ওজন প্রায় ৭০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়।