



গরুপাচার কান্ডের অন্যতম মাথা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তাঁর গ্রেপ্তারির পরই আরও কয়েকটি নাম উঠে আসে।




প্রথমটি তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। জানা যায়, তার সাতমহলা বাড়ি, বিপুল সম্পদের হদিশ। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি দেখে ধন্দে পড়েন তদন্তকারীরা।




অভিযোগ ওঠে তিনিও গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি ইডির নজরবন্দি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চেয়েছিল দিল্লি নিয়ে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও জানানো হয়েছিল। সেই অনুমোদন মিলেছে গতকাল। যদিও সায়গলের আইনজীবিরা বাঁধা দিতে কোনো কসুর করেনি। কিন্তু হাইকোর্টের রায় অব্যাহতই রইল। ফলতঃ আসানসোলের জেল থেকে দিল্লিতে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সায়গলকে। সায়গলের বিরুদ্ধে রায় দিলেও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে ইডিকে। বলা হয়েছে, সাত দিনের বেশী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে রাখা যাবে না। ওই সময়ের মধ্যেই তাকে জেরা করতে হবে। জেরা করার সময় হোসেনের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
কিন্তু এমন দূরত্ব বজায় রাখতে হবে যাতে সায়গল ও তদন্তকারী ইডির কোনো কথা আইনজীবীর কানে না পৌঁছায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ১৮ অক্টোবর সায়গল হোসেন কে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ইডির আর্জিকে মান্যতা দেয় দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। কিন্তু তারপরের দিন অর্থাৎ ১৯ শে অক্টোবর এর বিরোধিতা করে কোর্টে দ্বরস্থ হয় সায়গল কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি। ইডির পক্ষেই রায় বহাল থাকে আদালতের। শোনা যাচ্ছে, যতক্ষণ না আসানসোলে লিখিত দস্তাবেজ পৌঁছাবে ততক্ষণ সায়গলকে সরানো যাবে না। বর্তমানে আসানসোলের জেলেই রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ।