সোশ্যাল মিডিয়া হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর নানা অদ্ভুত আশ্চর্য ঘটনাবলী আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে থাকি।




এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অনেকে তার সুপ্ত প্রতিভা বিশ্বের সামনে নিয়ে আসার সুযোগ পেয়ে যান।তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম না থাকতো তাহলে হয়তো এই সমস্ত প্রতিভাকে আমরা কোনদিন দেখতে পেতাম না।




আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এমন অনেক প্রতিভা রয়েছে যারা উপযুক্ত সুযোগের অভাবে সব সময় সুপ্ত থাকে। কিন্তু আজকাল এমন কেউ নেই যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন না,




এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকাল সমস্ত অসুবিধা দূর হয়ে গিয়েছে এবং মানুষ খুব সহজে সেই সমস্ত মানুষের কাছাকাছি চলে আসতে পারে যারা সুযোগের অভাবে কোন দিন ভাইরাল হতে পারেননি। অবশ্য প্রতিভা ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে মাঝেমাঝেই অদ্ভুত ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়।




বর্তমানের যুগে সততা খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। মানুষ এখন বড়ই সুবিধাবাদী হয়ে গেছে। সবাই নিজের কাজ বা নিজে ভালো থাকার পথ খুঁজে নেয়।




আর সেই পথ খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ তার মূল্যবোধ হারায়। অসৎ পথে গিয়ে জীবনের সুখ খুঁজতে চায়। আসলে জীবনের সততার পথে চলা খুবই কঠিন। কারণ এই পথ অমসৃণ এবং আঁকাবাঁকা।




তবে সুবিধাবাদী দুনিয়াতে থেকেও সততার নজির করেছেন উত্তরপাড়ার সেলুন মালিক পিন্টু মান্না। তিনি পথ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ২১০০০ টাকা ফেরত দিয়েছেন টাকার আসল মালিককে।




উত্তরপাড়ার পিন্টু মান্নার ক্রাউন গেটের কাছে জি টি রোড লাগোয়া জেকে স্ট্রিটে ৪ বাই ৮ ফুটের একটি সেলুন আছে। তার বয়স প্রায় ৪৪ এর কাছাকাছি। সংসারে মা, স্ত্রী ও সন্তান আছে।




সারা দেশে করোনা লকডাউন এর জেরে প্রায় পাঁচ মাস দোকান বন্ধ ছিল। তাছাড়াও এখন দোকান খুললেও ক’রোনা সংক্রমনের ভয়ে কাস্টমার খুবই কম আসে।




এমনই অবস্থায় ষষ্ঠীর দিন সকালে কাস্টমারের অপেক্ষায় দোকানের বাইরে বসেছিল পিন্টু মান্না। হঠাৎই তার চোখে পড়ে রাস্তায় ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল পড়ে আছে।




সে সেই বান্ডিলটি কুড়াতে গেলে রাস্তার একজন লোক সেটা তার টাকা বলে দাবি করে। পরে বান্ডিলে কত টাকা আছে জিজ্ঞাস করলে সেই লোক চুপচাপ চলে যায়।




তারপর পিন্টু পাশাপাশি সব দোকানের মালিকদের সাক্ষী রেখে টাকা গোনে এবং দেখে ২১০০০ টাকা আছে। সে সেই টাকা তার আসল মালিককে ফেরানোর জন্য উপায় জানতে চাইলে সবাই বলে তার কাছে কিছুদিনের জন্য রেখে দিতে। মালিক যদি এসে খোজ করে তাকে দিয়ে দেওয়া যাবে।




কিন্তু অনেক দিন অপেক্ষা করার পরও কেউ সেই টাকা দাবি করতে আসেনি। কিন্তু সৎ পিন্টুর অন্যের টাকা আত্মসাৎ করার কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। তাই সে গত শুক্রবার স্ত্রী রুপালিকে নিয়ে থানায় যায়।




সেখানে সমস্ত ঘটনা বিস্তারে জানায় আইসি সুপ্রকাশ পট্টনায়েককে। বিধি মেনে টাকার বান্ডিল জমা করে দেন থানায়।দরিদ্র যুবকের এই সততাকে কুর্নিশ জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে পিন্টু বলেছে, অন্যের টাকা তার নিয়ে নেওয়ার কোন ইচ্ছা নেই। সে তার সেলুনের ব্যবসা চললেই খুশি।